Sliderধর্ম ও বিশ্বাসবিশেষ সংবাদ

ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন ইমাম খামেনেয়ী (হাফি.)

ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন ইমাম খামেনেয়ী (হাফি.)

তেহরানের জুমার নামাজ আয়োজক কমিটির প্রধান আলী নূরীর সূত্রে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল ৬.৩০ মিনিটে এবং সকাল ৮.০০টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হবে।” আলী নূরীর উপস্থিতিতে শুক্রবারে জুম্মা কমিটির সদর দপ্তরে ঈদুল ফিতরের নামাজ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তেহরানের ঈদুল ফিতরের নামাজ আয়োজনের দপ্তর প্রধান আলী নূরী বলেন, “শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা এবং সর্বোচ্চ নেতার দপ্তর কর্তৃক ঈদের দিন ঘোষণার পর, তেহরানের ইমাম খোমেনি (রহ.) মুসাল্লায় সর্বোচ্চ নেতা ইমাম আলী খামেনেয়ী (হাফি.)-এর ইমামতিতে ঈদুল ফিতরের জাঁকজমকপূর্ণ নামাজ সকাল ৮.০০টায় অনুষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরো বলেন, “এ উদ্দেশ্যে ইমাম খোমেনি (রহ.) মুসাল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। ভোর ৪.০০টা থেকে মুসাল্লার চার দিকের গেট নামাজীদের জন্য পরিবারসহ প্রবেশের সুযোগ থাকবে।” তিনি বলেন, “দক্ষিণ দিকের শহীদ বেহেশতী সড়কের ৩, ৪, ৭ ও ৮ নম্বর গেটে আমরা নামাজিদের সেবায় নিয়োজিত থাকব।”

নূরী বলেন, “ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে সম্মানিত পরিবারবর্গ তাদের সন্তানদের নিয়ে ফোয়ারা-বেষ্টিত মূল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হতে পারেন। মূল প্রাঙ্গণ পর্যন্ত মোবাইল ফোন বহন করা যাবে, তবে ভারী জিনিসপত্র নিয়ে আসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।” তিনি জানান, “সকাল ৪.০০টা থেকে বাস ও ট্যাক্সি সার্ভিস মেট্রোর সঙ্গে সমন্বয় করে চালু থাকবে। প্রধান চত্বর, নির্দিষ্ট স্থান ও মসজিদগুলো থেকে বাস যোগে নামাজীদেরকে মুসল্লায় আনা হবে। মূল মঞ্চের অনুষ্ঠান সকাল ৬.৩০টায় শুরু হবে, যেখানে ক্বারীগণ, সঙ্গীত দল, কবি ও মাদাহানরা নাশিদ, মোনাজাত ও ধর্মীয় স্তূতি পরিবেশন করবেন।” নূরী ব্যাখ্যা করেন, “মুসল্লার অভ্যন্তরে ও বাইরে সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। শিশু-কিশোর বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন কেন্দ্র, তেহরান পৌরসভার সাংস্কৃতিক-শৈল্পিক সংস্থা, তেহরান রেভূলিউশনারি গার্ডের সাংস্কৃতিক উপদপ্তর, প্রচার সংস্থা ও ইসলামিক স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন একযোগে এ আয়োজনে অংশ নিয়েছে।”

তিনি বলেন, “প্রথমবার রোজাদার কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান ও শিশুদের জন্য উপহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইমাম রেজা (আ.)-এর খাদেমগণ প্রবেশপথে নামাজীদের স্বাগত জানাবেন।” তিনি উল্লেখ করেন, “‘ইবাদত ও ঐক্যের ঈদ’—এই স্লোগানে গত বছরের মতোই পারিপার্শ্বিক ব্যাবস্থা সাজানো হবে। তেহরান পৌরসভার সেবা ও সহায়তা উপদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা তেহরান গভর্নরের তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সহায়তা প্রদান করেছে।”

নূরী আরো বলেন, “জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা সকাল ৭.০০টার আগেই মুসাল্লায় পৌঁছান। অনুষ্ঠান সকাল ৬.৩০মিনিটে শুরু হলেও নামাজ সকাল ৮.০০টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে সকাল ৭.০০টার পর নামাজীদের ভিড় বৃদ্ধির কারণে যানজট দেখা দিতে পারে। সকাল ৭.৩০ মিনিটের পর দক্ষিণ গেটদিয়ে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এই সময়ের পর আসা ব্যক্তিদের পূর্ব বা উত্তর গেট ব্যবহার করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।”

তিনি নিশ্চিত করেন, “মুসাল্লার অভ্যন্তরে বিস্তারিত তথ্য স্ক্রীনে প্রদর্শিত হবে। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আজ থেকেই বিভিন্ন চ্যানেলে তথ্যসমৃদ্ধ ক্লিপ ও ভিডিও প্রচার করবে। মুসাল্লায় স্থাপিত ডিজিটাল স্ক্রীন ও ব্যানারে প্রবেশপথ, সময়সূচি ও নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো স্থানে সাউন্ড সিস্টেম কাজ না করলে বুঝতে হবে সেখানে কাতার মূল নামাজের সঙ্গে সংযুক্ত নয়।”

নূরী সতর্ক করেন, “অত্যধিক ভীড়ের কারণে নিজস্ব সেজদার মাদুর ও জায়নামাজ আনতে ভুলবেন না। গণপরিবহন ব্যবহারে গুরুত্ব দিন। যদিও চারদিকে পার্কিং সুবিধা রয়েছে, তবুও পুলিশের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। তেহরান ঈদুল ফিতর নামাজ কমিটির টেলিগ্রাম চ্যানেলে ম্যাপ, প্রবেশপথ ও সময়সূচির পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে।”

তিনি অনুরোধ জানান, “নামাজ শেষে ধীরে সুস্থে প্রস্থান করুন। নিরাপত্তা বাহিনী ও আয়োজকদের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা করুন, যেন প্রতি বছরের মতো নির্বিঘ্নে ও সুশৃঙ্খলভাবে এবারের ঈদের নামাজ সুসম্পন্ন হয়।”

মিডিয়া মিহির/ধর্ম ও বিশ্বাস/রাসেল আহমেদ

আরো পড়ুন..

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button