ইসলামী অর্থনীতিতে অর্থের প্রকৃতি ও প্রকৃত বনাম প্রচলিত অর্থের তুলনামূলক বিশ্লেষণ
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মিডিয়া মিহির : ইসলামী অর্থব্যবস্থায় অর্থের প্রকৃতি ও তার কার্যকারিতা একটি মৌলিক ও বিতর্কিত বিষয়। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিবর্তন এবং প্রচলিত অর্থের আধিপত্যের প্রেক্ষাপটে ইসলামী চিন্তাবিদ ও অর্থনীতিবিদদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে এসেছে: শরিয়তের দৃষ্টিতে কি অর্থের প্রকৃত রূপ স্বর্ণ ও রূপার মতো স্বতঃসিদ্ধ মূল্যসম্পন্ন বস্তু হতে হবে? নাকি এটি একটি সামাজিক চুক্তিভিত্তিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দ্বারা নির্ধারিত বিষয় হতে পারে?
এই আলোচনায় দুটি প্রধান মতবাদ বিশ্লেষণ করা হয়েছে:
প্রথম মতবাদ: অর্থের প্রকৃত রূপ স্বর্ণ ও রূপা, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে একমাত্র বৈধ অর্থ। এই মতবাদ ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক যুক্তির মাধ্যমে প্রচলিত কাগুজে অর্থের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
দ্বিতীয় মতবাদ: স্বর্ণ ও রূপার বৈধতা স্বীকার করেও, একে একচেটিয়া অর্থ হিসেবে মানতে অস্বীকৃতি জানায়। এটি ঐতিহাসিক তথ্য ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার আলোকে প্রচলিত অর্থের কার্যকারিতা ও বৈধতাকে ব্যাখ্যা করে এবং ইসলামী সমাজের বৃহত্তর কল্যাণের ভিত্তিতে তার গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরে।
ভূমিকা
অর্থ এবং অর্থনৈতিক নীতিমালা সমাজের অর্থনৈতিক জীবনের মূল স্তম্ভ। আধুনিক যুগে স্বর্ণের মান বাতিল হয়ে যাওয়ার পর, কাগুজে অর্থের প্রচলন এবং তার পেছনে কোনো বাস্তব মূল্য না থাকার কারণে ইসলামী অর্থশাস্ত্রে নতুন বিতর্কের সূচনা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ইসলামী চিন্তাবিদদের দায়িত্ব হলো অর্থের প্রকৃতি ও তার শরিয়তসম্মত ব্যবস্থাপনা নিয়ে গভীর গবেষণা করা।
মূল প্রশ্ন হলো: ইসলাম কি নির্দিষ্ট কোনো অর্থের রূপকে স্বীকৃতি দেয়? ইসলামি শাসক কি যেকোনো মাধ্যমকে অর্থ হিসেবে প্রচলন করতে পারেন, নাকি শরিয়ত এতে সীমা নির্ধারণ করেছে?
প্রথম অধ্যায়: প্রকৃত অর্থের তত্ত্ব ও তার যুক্তি
এই মতবাদে বলা হয়, শরিয়তের দৃষ্টিতে অর্থের প্রকৃত রূপ হলো স্বর্ণ ও রূপা। এই মতবাদ নিম্নোক্ত যুক্তির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত:
১. শাসকের কার্যকলাপে সতর্কতা ও সীমাবদ্ধতা
অর্থব্যবস্থা ব্যক্তিগত নয়, বরং ইসলামী শাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যেহেতু এটি জনগণের অধিকার ও বৃহত্তর কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই এখানে ‘সতর্কতার নীতি’ প্রযোজ্য। অর্থের ক্ষেত্রে অনুমান বা সন্দেহের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। যেহেতু স্বর্ণ ও রূপার বৈধতা নিশ্চিত, তাই তার বাইরে অন্য কোনো মাধ্যমকে অর্থ হিসেবে গ্রহণ করতে হলে শক্তিশালী শরিয়তসম্মত যুক্তি প্রয়োজন।
২. প্রচলিত অর্থের বৈধতার যুক্তির সমালোচনা
শাসকের ক্ষমতা সংক্রান্ত দলিল: শাসকের সীমাহীন ক্ষমতার ধারণা ভুল। যেমন, হাদিসে বলা হয়েছে, শাসককে ‘আমাদের বিধান অনুযায়ী’ বিচার করতে হবে। অর্থাৎ, শরিয়তের সীমার বাইরে গিয়ে অর্থ তৈরি করা বৈধ নয়।
আধুনিক সমাজের অভ্যাস (সিরা ওকালায়ী) সিরা আকল : আধুনিক সমাজে প্রচলিত অর্থ ব্যবহারের অভ্যাস একা শরিয়তসম্মত নয়, যদি না তা ইমামদের অনুমোদন পায়। যেহেতু এই অভ্যাস ইমামদের যুগের পরে গড়ে উঠেছে এবং তার বিপরীতে শরিয়ত দলিল রয়েছে, তাই এটি শরিয়তের ভিত্তি হতে পারে না।
৩. ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় দলিল
ইতিহাসবিদ মাকরিজির বক্তব্য: তিনি বলেন, ইতিহাসে সব সমাজে একমাত্র প্রকৃত অর্থ ছিল স্বর্ণ ও রূপা। তামা বা অন্যান্য ধাতু (যেমন: ফ্লুস) কেবল ক্ষুদ্র লেনদেনে ব্যবহৃত হতো এবং তার মূল্যও স্বর্ণ-রূপার মাধ্যমে নির্ধারিত হতো।
ইমামদের অবস্থান: ইমামরা তামার মুদ্রা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। যেমন, এক হাদিসে ইমাম বলেন: “আমি জানি না ফ্লুস কী!” — এটি একটি প্রতীকী অস্বীকৃতি, যা ফ্লুসকে স্বতন্ত্র অর্থ হিসেবে গ্রহণ না করার ইঙ্গিত দেয়।
সিক্কায় রূপার আধিক্য: হাদিসে বলা হয়েছে, সিক্কায় রূপা প্রধান উপাদান হতে হবে। অন্য ধাতু যদি প্রাধান্য পায়, তাহলে সেই সিক্কা বৈধ নয় — এমনকি তার মূল্য জনগণকে জানানো হলেও।
৪. অর্থনৈতিক পরিণতির ভিত্তিতে যুক্তি
অন্যায় সম্পদ গ্রহণ (আকল মাল বিল বাতিল): প্রচলিত অর্থ, যা কোনো বাস্তব মূল্য ছাড়াই তৈরি হয়, জনগণের প্রকৃত সম্পদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অন্যায় সম্পদ গ্রহণের পথ খুলে দেয়।
শরিয়তের বিধান সংরক্ষণ: যেমন, যাকাতের নির্ধারিত পরিমাণ দিরহাম ও দিনারের ভিত্তিতে নির্ধারিত। এই দুটি মুদ্রা ব্যবহারের বাইরে গেলে শরিয়তের অনেক বিধান কার্যকর রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বর্ণ ও রূপার সৃষ্টিতে আল্লাহর প্রজ্ঞা: ইমাম সাদিক (আ.) বলেন, আল্লাহ স্বর্ণ ও রূপাকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে সৃষ্টি করেছেন — কারণ এগুলোর মূল্য স্থিতিশীল এবং সহজে বাড়ানো যায় না, যা অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা রোধ করে।
দ্বিতীয় অধ্যায়: প্রকৃত অর্থের তত্ত্বের সমালোচনা ও পর্যালোচনা
উপরোক্ত মতবাদের বিপরীতে সমালোচকরা ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক যুক্তি উপস্থাপন করে স্বর্ণ ও রূপার একচেটিয়া অর্থরূপকে চ্যালেঞ্জ করেছেন এবং কাগুজে বা প্রচলিত অর্থের বৈধতার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন।
২.১ ঐতিহাসিক যুক্তির সমালোচনা
মাকরিজির ঐতিহাসিক ঐকমত্যের দাবি যে স্বর্ণ ও রূপাই একমাত্র অর্থ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, তা সুপ্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক তথ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রাচীন ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস ও প্লিনির বিবরণ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার থেকে জানা যায়, প্রাচীন মিশর, গ্রিস ও ইরানের (হাখামানেশি ও সাসানীয় যুগে) সভ্যতাগুলোতে ব্রোঞ্জ ও তামা অর্থ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
অতএব, মাকরিজির বক্তব্য, যেটি বহু শতাব্দী পরে এসেছে, যথেষ্ট ঐতিহাসিক ভিত্তি রাখে না। বরং এটিকে মূলত উচ্চমূল্যের প্রধান অর্থের একটি অতিরিক্ত সীমাবদ্ধতা হিসেবে দেখা যেতে পারে, প্রকৃত সীমাবদ্ধতা নয়। বাস্তবে, দৈনন্দিন লেনদেনে সহজলভ্য ও কমমূল্যের মুদ্রাগুলোর ব্যবহার স্বর্ণ ও রূপার তুলনায় অনেক বেশি ছিল।
২.২ ধর্মীয় বর্ণনার পুনর্বিচার
“ما أَدْرِی مَا الْفُلُوس” — এই বর্ণনার বিভিন্ন ব্যাখ্যা হতে পারে। সবচেয়ে দুর্বল ব্যাখ্যা হলো, ইমাম (আ.) সম্পূর্ণভাবে ‘ফুলুস’ বা তামার মুদ্রার লেনদেন নিষিদ্ধ করেছেন। যদি তা সত্য হতো, তাহলে সেই সময়ের ব্যাপক ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট ও পুনরাবৃত্ত নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত ছিল, যা দেখা যায় না। বরং এই উক্তি হয়তো নির্দিষ্ট ফুলুসের ধাতব গঠন বা উৎস সম্পর্কে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করে, অথবা সুদের প্রসঙ্গে এসেছে। ইমামদের (আ.) নীরবতা ও জনগণের ব্যাপক ব্যবহার, একটি প্রকার অনুমোদন বা ‘তাকরির’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
মুদ্রার পারস্পরিক মূল্য নির্ধারণ: ফুলুসের মূল্য যদি দিরহামের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো, তাতে তার অর্থরূপে গ্রহণযোগ্যতা নাকচ হয় না। যেমন দিরহামের মূল্যও দিনারের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো — যেমন, দশ দিরহাম সমান এক দিনার। এই সম্পর্ক কেবল বিনিময় হার নির্দেশ করে, অর্থের স্বত্ব নয়।
২.৩ অর্থের মৌলিক প্রকৃতি: একটি সামাজিক চুক্তি
মূলত অর্থ একটি সামাজিক চুক্তিভিত্তিক ধারণা। স্বর্ণ ও রূপাও অর্থ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে কারণ মানুষ তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও অর্থের কার্যকারিতা স্বীকার করেছে।
মানুষ অর্থকে একটি উপকরণ হিসেবে দেখে, কোনো স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে নয়। তাই প্রকৃত অর্থ ও প্রচলিত অর্থের মধ্যে পার্থক্য — যেখানে প্রথমটি স্বতঃসিদ্ধ ও দ্বিতীয়টি চুক্তিভিত্তিক — এই ধারণা যথার্থ নয়। উভয়ই সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে টিকে আছে। সিক্কা থেকে কাগুজে টাকা এবং ডিজিটাল অর্থে রূপান্তর, অর্থনীতির যুক্তিবাদী অগ্রগতির অংশ।
৩.৪ প্রকৃত অর্থ ব্যবস্থার অর্থনৈতিক পরিণতির সমালোচনা
স্বর্ণ-রূপা ভিত্তিক অর্থব্যবস্থায় মূল্যস্ফীতি নেই — এই ধারণা ইতিহাসের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সেই সময়েও বিভিন্নভাবে মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে:
১. নতুন স্বর্ণ-রূপার খনি আবিষ্কারে (যেমন ১৬শ শতকে স্পেনে) প্রচণ্ড মূল্যস্ফীতি হয়েছিল।
২. বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার সিক্কার ওজন কমিয়ে একই পরিমাণ ধাতু দিয়ে বেশি সিক্কা তৈরি করত — এটি এক ধরনের অর্থসৃষ্টি।
৩. সিক্কার বিশুদ্ধতা কমিয়ে তাতে সস্তা ধাতু মিশিয়ে দেওয়া হতো — এটিও মূল্যস্ফীতির কারণ।
৪. নবী (সা.)-এর সময় “মূল্য বাড়ে ও কমে” — এই হাদিসও সেই সময়ের মূল্য ওঠানামার প্রমাণ।
অর্থনৈতিক মন্দা ও প্রবৃদ্ধির সঙ্গে অসামঞ্জস্যতা: প্রকৃত অর্থব্যবস্থার প্রধান সমস্যা হলো, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। যখন পণ্য ও সেবার পরিমাণ বাড়ে, অর্থের চাহিদাও বাড়ে। কিন্তু স্বর্ণ-রূপার সরবরাহ সীমিত হলে, মূল্য হ্রাস ও মন্দা দেখা দেয় — যা মাঝারি মূল্যস্ফীতির চেয়ে অনেক ক্ষতিকর। একটি আদর্শ অর্থব্যবস্থার লক্ষ্য হওয়া উচিত — অর্থের স্থিতিশীলতা, ক্রয়ক্ষমতার স্থায়ী বৃদ্ধি নয়।
তৃতীয় অধ্যায়: তুলনামূলক বিশ্লেষণ ও উপসংহার
এই দুই মতবাদের বিতর্কে দেখা যায়, উভয়েই বাস্তবতার একটি দিককে তুলে ধরে। প্রকৃত অর্থের তত্ত্ব জনগণের সম্পদের মূল্য সংরক্ষণ, অনিয়ন্ত্রিত অর্থসৃষ্টির বিরুদ্ধে সতর্কতা এবং ধর্মীয় বিধানের প্রতি আনুগত্যের গুরুত্ব তুলে ধরে। এটি প্রচলিত অর্থব্যবস্থার ঝুঁকি — যেমন রাষ্ট্রের পক্ষপাতদুষ্ট অর্থায়ন ও লাগামহীন মূল্যস্ফীতি — সম্পর্কে সঠিকভাবে সতর্ক করে।
অন্যদিকে, প্রচলিত অর্থের তত্ত্ব অর্থের চুক্তিভিত্তিক ও বিবর্তনশীল প্রকৃতি, অর্থনৈতিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নমনীয়তা এবং সময়ের সঙ্গে মানুষের ব্যবহারিক অভ্যাসের গুরুত্ব তুলে ধরে। এই মতবাদ বলে, সমস্যা অর্থের প্রকৃতিতে নয়, বরং তার ব্যবস্থাপনায়। অর্থের মূল্য নির্ধারিত হয় অর্থের পরিমাণ ও বিনিময়যোগ্য পণ্য-সেবার অনুপাতে।
উপসংহার
স্বর্ণ ও রূপার একচেটিয়া অর্থরূপের পক্ষে উপস্থাপিত যুক্তিগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী নয় এবং তা ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ইতিহাসে মানুষের ব্যবহারিক অভ্যাস বিভিন্ন ধরনের অর্থ ব্যবহারের সাক্ষ্য দেয় এবং ধর্মীয় নীরবতা অনেক সময় অনুমোদনের ইঙ্গিত বহন করে।
তবুও প্রকৃত অর্থের পক্ষে উত্থাপিত উদ্বেগগুলো যথার্থ ও চিন্তার যোগ্য। ইসলামী অর্থব্যবস্থা এমনভাবে গঠিত হওয়া উচিত, যাতে অনিয়ন্ত্রিত অর্থসৃষ্টি ও ধ্বংসাত্মক মূল্যস্ফীতি — যা অন্যায় সম্পদ বিতরণ ও অবৈধ উপার্জনের পথ খুলে দেয় — প্রতিরোধ করা যায়।
অতএব, বলা যায়, ইসলাম অর্থের নির্দিষ্ট শারীরিক রূপ নির্ধারণ করেনি; বরং তার ন্যায্য কার্যকারিতা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। আধুনিক ইসলামী অর্থনীতির দায়িত্ব হলো — স্বর্ণের মানে ফিরে যাওয়া নয়, বরং এমন একটি নিয়ন্ত্রিত প্রচলিত অর্থব্যবস্থা নির্মাণ করা, যা ধর্মীয় বিধান অনুসারে অর্থের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ন্যায্যতার সেবা করে। এর জন্য প্রয়োজন আরও গভীর গবেষণা — ইসলামী ব্যাংকিং, অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে।



