ইরান যেকোনো আগ্রাসনের মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত: সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
মিডিয়া মিহির: ইরানি সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো হুমকি বা আগ্রাসনের ক্ষেত্রে দৃঢ় ও সিদ্ধান্তমূলকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। চলমান আধুনিকায়ন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ এবং সামরিক সক্ষমতার উন্নয়নের কারণে ইরান যে কোনো সম্ভাব্য আক্রমণের মুখে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম, জানিয়েছেন ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, মেজর জেনারেল আবদুলরহিম মুসাভী।
রবিবার মেজর জেনারেল মুসাভী ইসলামী বিপ্লব গার্ড কোরস (IRGC)-এর কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপূরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ইরানের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা, প্রস্তুতির মাত্রা এবং সামরিক পরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
মেজর জেনারেল মুসাভী ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অর্জন, বিশেষ করে IRGC এবং বাসিজের (Basij) সফলতা নিয়ে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, সক্রিয় প্রতিরোধ কৌশল, যা শক্তিশালী, সাহসী এবং বিধ্বংসী প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে মিলিত, তা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এবং সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন যে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, শক্তিশালীকরণ এবং প্রযুক্তিগত আপডেট সুচারুভাবে এগিয়ে চলেছে। এর ফলে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি বা আগ্রাসনের মোকাবিলায় পূর্ণ প্রস্তুত। মুসাভী জোর দিয়ে বলেন যে আধুনিকীকরণ এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতার উন্নতি নিশ্চিত করছে যে ইরান প্রতিরক্ষা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেয় না।
মেজর জেনারেল মুসাভী সামরিক বাহিনী এবং IRGC-এর মধ্যে ঐক্যকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই সংহতি শত্রুদের পরাজিত করার ক্ষেত্রে এবং ইরানের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, জাতীয় নিরাপত্তা ও ইসলামী বিপ্লবের আদর্শ রক্ষায় মূল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে। এই একতা প্রতিরোধের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দেশের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা নিশ্চিত করে।
তিনি আরও স্পষ্ট করেছেন যে ইরানের সামরিক বাহিনী কেবল শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্র বা প্রযুক্তি নয়, বরং সুসংহত ও সমন্বিত কৌশলগত প্রস্তুতি-প্রণালীর মাধ্যমে যে কোনো সম্ভাব্য হুমকির মুখে কার্যকর প্রতিক্রিয়া প্রদানের জন্য প্রস্তুত। মুসাভীর কথায়, এই প্রস্তুতি দেশকে শত্রুদের নিকট “অপরাজেয় প্রতিরোধের শক্তি” হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে এবং যে কোনো আগ্রাসনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করার সক্ষমতা প্রদান করে।
উল্লেখ্য, মেজর জেনারেল মুসাভী এই বৈঠকে দেশের সামরিক আধুনিকায়ন ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিক অগ্রতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সব দিক থেকে প্রস্তুত। আধুনিক অস্ত্র, শক্তিশালী কৌশল এবং দক্ষ মানবসম্পদ একত্রে যে কোনো সম্ভাব্য হুমকি প্রতিহত করতে সক্ষম।”
সর্বশেষে মেজর জেনারেল মুসাভী সামরিক বাহিনী ও IRGC-এর মধ্যে ঐক্যকে দেশের সুরক্ষা ও প্রতিরোধের ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই সংহতি নিশ্চিত করে যে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করতে সক্ষম, এবং ইসলামী বিপ্লবের আদর্শকে অটল রাখার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।”



