ইরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে: পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
মিডিয়া মিহির: পাকিস্তানের ইরানস্থ রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ মুদাসসির টিপু বলেছেন, তেহরান ও ইসলামাবাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বর্তমানে অত্যন্ত সুদৃঢ় এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের পথে রয়েছে।
সোমবার তেহরানে পাকিস্তান দূতাবাস প্রাঙ্গণে “কাশ্মির ব্ল্যাক ডে” উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাষ্ট্রদূত মুদাসসির তিপু বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক সর্বদা উন্নয়নশীল ও দৃঢ় এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা “অসাধারণ” পর্যায়ে পৌঁছেছে।
পারস্পরিক সমর্থন ও সহযোগিতা
রাষ্ট্রদূত বলেন, পাকিস্তান সবসময় ইরানের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তেমনি ইরানও ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার সময় পাকিস্তানকে রাজনৈতিক সমর্থন প্রদান করেছে।
তিনি আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন কাঠামো তৈরি হয়েছে। এর অংশ হিসেবে তারা বার্টার ট্রেড (পণ্য বিনিময় বাণিজ্য) সহজতর করার জন্য আইনগত ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করেছে। এতে আর্থিক লেনদেনের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সরাসরি পণ্য বিনিময় সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, এই ব্যবস্থা বহুমুখী বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, শিগগিরই ইরানি অংশীদারদের সঙ্গে আরও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে যাতে এই ব্যবস্থাটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।
সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান
রাষ্ট্রদূত ইরানি গণমাধ্যমকে আহ্বান জানান, বার্টার ট্রেডের সুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার কাজ করতে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়, বাণিজ্য চেম্বার এবং ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
বাণিজ্য ও যোগাযোগে নতুন উদ্যোগ
তিনি আরও জানান, তেহরান ও ইসলামাবাদ বর্তমানে একটি ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (FTA) চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
তাছাড়া, পাকিস্তান–ইরান–তুরস্ক রেল ট্রানজিট করিডর, বিশেষ করে কোয়েটা–তাফতান রুট, পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে আলোচনাও চলছে। এতে আঞ্চলিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য আরও শক্তিশালী হবে।
রাজনৈতিক সম্পর্কের উৎকর্ষতা
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে অত্যন্ত চমৎকার এবং স্থিতিশীল। উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের—রাষ্ট্রপ্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের—মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই ইরান সফরে আসবেন, যেখানে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।



