বিশ্বসংবাদ বিশ্লেষণ

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

মিডিয়া মিহির: যুক্তরাষ্ট্র সরকার চীন, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট ২৯টি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ সংস্থাও রয়েছে। ওয়াশিংটনের দাবি— এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বা মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান “ইউরো ইলেকট্রনিক্স”-এর দুটি সহযোগী কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, এই দুটি প্রতিষ্ঠান ইরানি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মার্কিন প্রযুক্তি ক্রয়ে সহায়তা করেছে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকাটি বুধবার ফেডারেল রেজিস্টার-এ প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত কোনো কোম্পানির এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া একটি বিরল ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফেডারেল রেজিস্টারের নথি অনুসারে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মোট ২৯টি সংস্থা ও ঠিকানা (২৬টি প্রতিষ্ঠান ও ৩টি ঠিকানা) নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে— যার মধ্যে ১৯টি চীনের, ৯টি তুরস্কের এবং ১টি সংযুক্ত আরব আমিরাতের।
ওয়াশিংটনের দাবি, এই প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং তারা ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ও পশ্চিম এশিয়ার প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিগত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে। তবে দেশি ও বিদেশি বিশ্লেষকদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানবিরোধী লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
এর আগে, গত ৯ মেহর (৩০ সেপ্টেম্বর) তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট) ইরানের প্রতিরক্ষা ও সশস্ত্র বাহিনী সহায়তা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে ২১টি সংস্থা ও ১৭ জন ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button