
মিডিয়া মিহির: ইরাকের সংসদের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, দেশটির সেনাবাহিনী ও জনপ্রিয় গণপ্রতিরক্ষা বাহিনী (হাশদ আশ্ শাবি) ২০২৫ সালের শুরু থেকে দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সফল অভিযান পরিচালনা করছে এবং এতে এ পর্যন্ত সংগঠনের ১৯ জন শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আল-মালুমা সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়াসের ইসকান্দার বলেন, বিগত কয়েক বছরে ইরাককে বড় ধরনের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যার মূল কারণ ছিল দায়েশের (আইএস) সুপ্ত সন্ত্রাসী সেলগুলোর তৎপরতা। এসব সেল মূলত দিয়ালা, কিরকুক, সালাহউদ্দিন ও নেইনাভা প্রদেশসহ অন্যান্য কিছু অঞ্চলে সক্রিয় ছিল।
তিনি আরও জানান, ইরাকি সেনাবাহিনী, হাশদ আশ্ শাবি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টা দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
তার ভাষায়: ২০২৫ সালের বিশেষ অভিযানে বিশেষ করে হামরিন ও বলকানাহ অঞ্চলে দায়েশের ১৯ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এর প্রভাব হিসেবে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা স্পষ্টভাবে কমে এসেছে এবং দায়েশের সুপ্ত সেলগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ইসকান্দার আশা প্রকাশ করে বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এখন শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে এবং ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই এর সমাপ্তি ঘটবে।”
অন্যদিকে, এক ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, রমাদির পশ্চিমাঞ্চলে পরিচালিত অভিযানে দায়েশের সাতটি গোপন আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, হাশদ আশ্ শাবি বাহিনী আনবার প্রদেশের মরু অঞ্চলে দায়েশের অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে অভিযানে নেমে আটটি সন্ত্রাসী সমাবেশ কেন্দ্র ধ্বংস করে।
তাদের মধ্যে একটি কেন্দ্র থেকে বিস্ফোরকভর্তি বস্তু উদ্ধার করা হয়, যা ইরাকি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের সদস্যরা নিয়ন্ত্রিতভাবে ধ্বংস করে। নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়, যা দুর্গম মরু অঞ্চলে দায়েশের আস্তানার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছিল।
বর্তমানে দায়েশের অবশিষ্ট সন্ত্রাসীরা দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকায়, বিশেষত নিনেভা, দিয়ালা, কিরকুক, সালাহউদ্দিন ও আনবার প্রদেশে লুকিয়ে আছে। এছাড়া কিরকুক ও সুলাইমানিয়া সীমান্তবর্তী এলাকার যঘিতুন উপত্যকা, ওয়াদি আশ-শাই, ইউনুস পর্বতমালা ও হাওরান উপত্যকায় তাদের উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে।