ইয়েমেনের হুঁশিয়ারি: গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে
ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৫
মিডিয়া মিহির: তেহরান, ২০ অক্টোবর ২০২৫ — গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিক লঙ্ঘনের ঘটনায় ইয়েমেনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে কঠোর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ইয়েমেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুলওয়াহেদ আবুরাস এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা গাজার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যুদ্ধবিরতির চুক্তি বারবার ভাঙা হচ্ছে, যার সর্বশেষ উদাহরণ ছিল গতকাল, যখন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বহু নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যদি যুদ্ধবিরতির ভিত্তি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়ে, তাহলে ইসরায়েলকে অতীতের তুলনায় আরও কঠিন প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে। ইয়েমেন তার অটল অবস্থানে রয়েছে—ফিলিস্তিনের জনগণ ও তাদের বীর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাশে আমরা আছি।”
আবুরাস আরও বলেন, “আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের আশ্বস্ত করতে চাই—তারা একা নন। এই লড়াই শুধু তাদের নয়, আমাদেরও। আমরা তাদের পাশে আছি এবং আল্লাহর ইচ্ছায়, যেকোনো চ্যালেঞ্জের মুখে তাদের হতাশ করব না।”
গাজার সরকারি তথ্য দপ্তর জানিয়েছে—যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮০ বার এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এইসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন ও শান্তিচুক্তির সরাসরি অবমাননা।
সরকারি দপ্তর আরও জানায়, এই লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে—সরাসরি সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো, পরিকল্পিত বোমা হামলা, আগুনের বেষ্টনী ব্যবহার এবং নিরপরাধদের আটক করা। এসব ইঙ্গিত দেয়, দখলদার বাহিনী সংঘাতকে আরও উসকে দিতে চায় এবং তাদের রক্তপিপাসা যেন কখনোই মেটে না।
এই ধারাবাহিক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং ২৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই গুরুতর অবস্থায়। গাজার প্রশাসনের আশঙ্কা, যদি এই হামলা অব্যাহত থাকে, তাহলে যুদ্ধবিরতির ভিত্তি সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়বে।



