জীবনযাপনবিশেষ সংবাদবিশ্বসংবাদ বিশ্লেষণ

ইউনিসেফ: দক্ষিণ গাজায় নিরাপদ এলাকা থাকার বিষয়ে ইসরায়েলের দাবি হাস্যকর।

ডক্টর মুহাম্মাদ ফারুক হুসাইন। প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৫

মিডিয়া মিহির:গাজা নগরীসহ পুরো গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা এবং পুনঃপুন সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশের পর জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে, গাজা নগরী থেকে যাদের জোর করে উচ্ছেদ করা হচ্ছে, তাদের আশ্রয়ের জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।

জাতিসংঘ জোর দিয়ে বলেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের জন্য নির্ধারিত অঞ্চলগুলো আসলে মৃত্যু-অঞ্চল ছাড়া আর কিছু নয়।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) জানিয়েছে, গাজায় মায়েরা ও নবজাতকরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণে পালিয়ে আসা রোগীদের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নাসের হাসপাতাল মারাত্মক ভিড়ে পূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং কঠোর চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতিতে ভুগছে। ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, “গাজায় মায়েদের ও নবজাতকদের পরিস্থিতি এর চেয়ে আর কখনো খারাপ ছিল না। নাসের হাসপাতালের করিডরগুলো নবজাতক প্রসব করা নারী দিয়ে উপচে পড়ছে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) মুখপাত্র গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি করা দক্ষিণ গাজায় কোনো নিরাপদ অঞ্চল নেই—এটি একেবারেই এক প্রহসন। সেখানে পূর্বানুমেয় ফ্রিকোয়েন্সিতে আকাশ থেকে বোমা বর্ষিত হচ্ছে এবং সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। যেসব স্কুলকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেগুলো নিয়মিতভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে এবং ইসরায়েলি বিমান হামলায় আশ্রয়কেন্দ্রের তাঁবুগুলো পুড়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা (আনরওয়া) জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে দশ-দশ হাজার ফিলিস্তিনি নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং পানি ও খাদ্যে প্রবেশাধিকার এখনও মারাত্মকভাবে সীমিত।

এই সবকিছুই ঘটছে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে গাজায় যুদ্ধ সমাপ্তির প্রস্তাবের প্রতি হামাসের প্রতিক্রিয়া ঘোষণার পর গতরাত থেকে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীসহ পুরো গাজা উপত্যকায় নতুন করে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ শুরু করেছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা দশকেরও বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে গাজা নগরী ইসরায়েলি সেনাদের নির্মম ও উন্মাদ আকাশি হামলার নিচে জ্বলছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আজ ভোরের এসব হামলায় শিশু-কিশোরসহ বহু সাধারণ মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button