আল-আকসা মসজিদ অবমাননা জায়নবাদীদের ফ্যাসিবাদী মানসিকতার প্রতিফলন: হামাস
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ৮ অক্টোবর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, ইসরায়েলের তথাকথিত জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির–এর আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের ঘটনা ইসরায়েলি সরকারে বিরাজমান ফ্যাসিবাদী মনোভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ এবং পবিত্র জেরুজালেম (বায়তুল মুকাদ্দাস)–কে “ইহুদিকরণ” করার এক পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
বেন-গভিরের নেতৃত্বে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের একদল পুলিশি সুরক্ষায় পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে প্রবেশের ঘটনার পর হামাসের এই বিবৃতি দেয় ।

তেহরানভিত্তিক প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ ৮ অক্টোবর, ১৯৯০ সালের আল-আকসা মসজিদে সংঘটিত প্রথম গণহত্যার ৩৫তম বার্ষিকী। ঠিক এই দিনেই ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির একদল ইহুদি বসতি স্থাপনকারীকে নিয়ে আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে অনধিকার প্রবেশ করেন।
হামাস এই ঘটনাকে ইচ্ছাকৃত ও উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, এটি ইসরায়েলি দখলদার সরকারের ফ্যাসিবাদী মানসিকতার স্পষ্ট প্রতিফলন। বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঘটনা শুধু একটি ধর্মীয় স্থানের অবমাননা নয়; বরং এটি সমগ্র মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় অনুভূতিতে প্রকাশ্য আঘাত।
হামাস আরও জানায়, এই অনুপ্রবেশ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি এমন একটি আক্রমণাত্মক বার্তা যা মসজিদটিকে ভাগ করার বৈধতা প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে ইসরায়েলি কর্তৃত্ব চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে।
সংগঠনটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই পদক্ষেপ আসলে জেরুজালেম শহরের আরব ও ইসলামি চরিত্র মুছে ফেলার এবং পুরো শহরকে “ইহুদিকরণ” করার এক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।
বিবৃতিতে হামাস জোর দিয়ে বলেছে, বায়তুল মুকাদ্দাস (আল-কুদস) ও আল-আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনিদের কাছে “লাল রেখা”; এই পবিত্র স্থানগুলোর ওপর ধারাবাহিক ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবমাননা কখনোই বাস্তবতা পরিবর্তন করতে পারবে না। আল-আকসা চিরকালই ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে থাকবে।
হামাস ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে— জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং ১৯৪৮ সালে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসবাসরত সব মুসলমান যেন নিয়মিতভাবে আল-আকসা মসজিদে উপস্থিত থাকে এবং এর প্রাঙ্গণে ইতিকাফ (আধ্যাত্মিক অবস্থান) পালন করে পবিত্র এই স্থানটির সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
সংগঠনটি একই সঙ্গে আরব ও ইসলামি দেশসমূহ, এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে— তারা যেন রাজনৈতিক, আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ধারাবাহিক লঙ্ঘন অবিলম্বে বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়।



