আমেরিকা ও বিশ্বকে নতুন ’বিস্ময়কর সামরিক সক্ষমতা’ দেখাবে ইয়েমেন: আনসারুল্লাহ
আনসারুল্লাহ আন্দোলনের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জোর দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনের সমর্থনে সমগ্র আরব বিশ্বকে অগ্রণী ভূমিকা পালনক করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আমেরিকা ও সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বকে ইয়েমেনের নতুন ’বিস্ময়কর সামরিক সক্ষমতা’ দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ ইয়েমেনিরা যা বলে, তা-ই করে।”
তিনি বলেন, “ইয়েমেনি নেতৃত্ব জানে কীভাবে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বকে নিয়মিতভাবে চমকে দিতে হয়। ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর এই সংগ্রামে হতাশার কোনো স্থান নেই—ইয়েমেন বিজয়ের পথেই এগোচ্ছে।”
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “বর্তমান এই সংঘাত জালিম ও মজলুমের মধ্যে একটি অস্তিত্বের লড়াই। যারা এ থেকে দূরে থাকবে, তাদেরকে এর জন্য ভারী মূল্য দিতে হবে—বিশেষ করে আরবদের জন্য। ইসরায়েল একটি অ্যাংলো-আমেরিকান প্রকল্প, যা ইসলামী বিশ্বের পরিচয়, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করতে চায়।” এর আগে, ইয়েমেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ নাসের আল-আতিফি জানিয়েছিলেন, “আমাদের দেশের সশস্ত্রবাহিনী যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে।”
ইয়েমেনি সশস্ত্রবাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে “জুলফিকার” ও “ফিলিস্তিন-২” হাইফারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তেল আবিবের বেনগুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফল হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও, মার্কিন আগ্রাসনের জবাবে লোহিত সাগরে অবস্থিত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী “হ্যারি এস ট্রুম্যানসহ” বেশ কয়েকটি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এই অভিযানগুলোকে গাজার অবরোধ ভেঙে দেয়া এবং ইয়েমেনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার প্রতিশোধের অংশ বলে উল্লেখ করেছেন।
মিডিয়া মিহির মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক//রাসেল আহমেদ