আত্মসমালোচনা: মানবিক সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ– নিজের আত্মা চেনা ও জীবনের পথে নৈতিক উন্নয়ন
রাসেল আহমেদ | প্রকাশ: ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মিডিয়া মিহির: আত্ম-সতর্কতা (মুরাকাবা) ও আত্মসমালোচনা (মুহাসাবা) হলো মানুষের চরিত্র ও নৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। কুরআন ও হাদীসে বারবার নির্দেশিত হয়েছে, একজন মানুষ যদি নিজের কর্ম, বিশ্বাস ও আচরণের দিকে সজাগ মনোযোগ দেয়, সে ত্রুটি সনাক্ত করতে পারে এবং তা সংশোধন করতে সক্ষম হয়। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নয়নের নয়, বরং সমগ্র সমাজের নৈতিকতা ও স্থিতিশীলতার জন্যও অপরিহার্য।
আত্মসমালোচনার গুরুত্ব
হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ মোহাম্মদ বাকের তাহরিরি বলেছেন, আত্মসমালোচনা মানুষের প্রকৃত উপকারিতা অর্জনের এবং নিজের ত্রুটি চিহ্নিত করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ। যে ব্যক্তি তার দুর্বলতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণগুলো সংশোধন করতে চায় এবং ভ্রান্ত চিন্তা ও বিশ্বাসগুলোকে সঠিকভাবে রূপ দিতে চায়, তাকে অবশ্যই আত্মসমালোচনাকে নিজের জীবনের শীর্ষে রাখতে হবে।
আত্মসমালোচনা মানে শুধু ভুল আচরণের চিহ্নিতকরণ নয়, বরং তা অন্তরের গভীরতা ও বিশ্বাসের স্থিতিশীলতার প্রতিফলন। এটি মানুষের মনোভাব, চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে নৈতিক ও ধর্মীয় রূপে পরিচালিত করে।
আত্মসমালোচনার প্রাথমিক ধাপ:
প্রথম ধাপ হলো নিজের কর্ম ও আচরণের প্রতি মনোযোগী হওয়া:
> কতটা সে নেক কাজে অটল।
> কতটা উদাসীন বা অবহেলাকারী গুনাহ থেকে বিরত থাকা।
> নিজের ভুল বা ভুল ধারণাকে সঠিক করার চেষ্টা।
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন,
مَن عَلِمَ نَفسَهُ فَقَدْ عَلِمَ رَبَّهُ
“যে ব্যক্তি নিজের আত্মাকে চেনে, সে আল্লাহকে চেনার পথে প্রবেশ করেছে।” [নাহজুল বালাগা, খুতবা ১৮৫] এখানে লক্ষ্য করা যায় যে আত্মসমালোচনা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়, বরং আল্লাহর প্রতি সততা এবং আন্তরিক আস্থা প্রকাশের একটি মাধ্যম।